বাংলাদেশে চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে এটা কার্যকর হবে বলে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকদের জানিয়েছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা।
হিলি বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাশেদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এতদিন শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবে চাল রফতানি করে আসছিল ভারত। কিন্তু গত রাতে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে নতুন এই শুল্ক আজ থেকেই কার্যকর বলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পত্র দিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। সেই সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির অনুমতি দিলে গত ২৩ জুলাই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকরা হিলিসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু করেন। ২৮ আগস্ট চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে চালের আমদানি যেমন বেড়েছে তেমনি দাম কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা করে দাম কমে আসছিল। কিন্তু এরমধ্যেই ভারত সরকার নতুন ঘোষণা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত এভাবে শুল্ক আরোপ করায় আবারও চালের দাম বাড়বে। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা চলছে। নতুন এই শুল্ক আরোপের ফলে চালের দাম কেমন বাড়বে, তাতে আমদানিতে কেমন পড়তা পড়বে, এর ওপর চাল আমদানি নির্ভর করবে। আজ সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। শনিবার বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি শুরু হলে পরিস্থিতি বোঝা যাবে।’